চট্টগ্রাম ০৪:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নীরবেই প্রস্থান ‘সাইলেন্ট কিলার’ রিয়াদের

Listen to this article

সাইলেন্টলি কিংবা নীরবে যে বিদায় নেওয়া যায় সেটা দেখিয়ে দিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কোনো রকম আগাম ঘোষণা ছাড়াই লাল সবুজের জার্সি তুলে রাখলেন দেশের ক্রিকেটের তারকা এই ক্রিকেটার। অথচ, দেশের ক্রিকেট ভক্তদের প্রত্যাশায় ছিল বাকি আরও অনেকের মতো ফেসবুকে বিদায় না হোক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। সিনিয়র এই ক্রিকেটারের বিদায় হোক তারই পরিচিত কোনো মাঠে।

গেল ফেব্রুয়ারিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে জাতীয় দলের হয়ে সর্বশেষ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ব্যাট হাতে এই ম্যাচে পারফর্ম করতে না পারাই অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারকে নিয়ে কথা হচ্ছিল অনেক, যা গিয়ে দাঁড়িয়েছিল অবসর প্রশ্নেও। ফলশ্রুতিতে গতকাল বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে নিজের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার থেকে অবসরের কথা জানান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

সবশেষ জাতীয় দলের হয়ে সময়টা ভালো যাচ্ছিল না রিয়াদের এই কথাটা বলা খুব একটা সমীচিন নয়। কারণ এই বছর মাত্র একটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ। ইনজুরির কারণে ছিলেন না চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম ম্যাচে। দ্বিতীয় ম্যাচে ফিরে তার ব্যাটে আসে মাত্র ৪ রান। তবে গত বছর ওয়ানডেতে ব্যাটার রিয়াদ ছিলেন দারুণ উজ্জ্বল। ২০২৪ সালে ৯টি ওয়ানডেতে তিনি ৪৮.১৪ গড়ে ৩৩৭ রান করেছেন। এর মধ্যে নভেম্বর-ডিসেম্বরে খেলা শেষ চার ওয়ানডেতে তার রানের চিত্রটা ছিল এমন– ৯৮, ৫০*, ৬২ ও ৮৪।

সামাজিক মাধ্যমে তবুও সমালোচনার তীব্র বিষে পুড়ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। যে কারণে বিসিবি থেকেও মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে কথা হচ্ছিল অবসর নিয়ে। তবে আচমকা নিজেই দিয়ে দিলেন জার্সি তুলে রাখার ঘোষণা। ঢাকা পোস্টকে বিসিবির এক নির্বাচক জানালেন রিয়াদের সঙ্গে কথা বলছিল বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগ। নির্বাচকদের সঙ্গে অবসর প্রসঙ্গে হয়নি কথা।

ক্রিকেটাররা মাঠে খেলা চালালেও অবসর নিচ্ছেন ফেসবুক থেকে। যে কারণে আফসোস ঝরেছে সাবেক নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমনের। তিনি বলছিলেন, ‘মাঠ থেকে নিতে পারলে অবশ্যই ভালো হতো, সেটা ডিসার্ভঁ করে সে। বাংলাদেশ দলের জন্য যা করেছে, মাঠ থেকে নিলে খুব ভালো হতো। পুরো স্টেডিয়ামের সামনে থেকে এসে বিদায় নিলে। আমার মনে হয় সব থেকে প্রোপারলি হতো বিদায়টা।’

সবমিলিয়ে আইসিসির বড় টুর্নামেন্টে ৪ সেঞ্চুরি আছে রিয়াদের। এছাড়া ম্যাচ জিতিয়ে মাহমুদউল্লাহর ভোঁ দৌড় বাংলাদেশের ক্রিকেটেরও এক পরিচিত দৃশ্য তবে সেসব সোনালি দিন পেরিয়ে রিয়াদ পৌঁছেছেন ক্যারিয়ারের অন্তিম লগ্নে। যেখান থেকে লাল সবুজের জার্সিতে ফেরার সম্ভাবনা আসলে আর নেই। রিয়াদ টেস্ট থেকে অবসরে গিয়েছিলেন অনেক আগেই। টি-টোয়েন্টিতে গেল বছর ভারতের মাটিতে, বাকি ছিল কেবল ওয়ানডে। এবার সেটি থেকেও নীরবে-নিভৃতেই এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের প্রস্থান।

নীরবেই প্রস্থান ‘সাইলেন্ট কিলার’ রিয়াদের

আপডেট সময় ১১:৩২:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫
Listen to this article

সাইলেন্টলি কিংবা নীরবে যে বিদায় নেওয়া যায় সেটা দেখিয়ে দিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কোনো রকম আগাম ঘোষণা ছাড়াই লাল সবুজের জার্সি তুলে রাখলেন দেশের ক্রিকেটের তারকা এই ক্রিকেটার। অথচ, দেশের ক্রিকেট ভক্তদের প্রত্যাশায় ছিল বাকি আরও অনেকের মতো ফেসবুকে বিদায় না হোক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। সিনিয়র এই ক্রিকেটারের বিদায় হোক তারই পরিচিত কোনো মাঠে।

গেল ফেব্রুয়ারিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে জাতীয় দলের হয়ে সর্বশেষ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ব্যাট হাতে এই ম্যাচে পারফর্ম করতে না পারাই অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারকে নিয়ে কথা হচ্ছিল অনেক, যা গিয়ে দাঁড়িয়েছিল অবসর প্রশ্নেও। ফলশ্রুতিতে গতকাল বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে নিজের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার থেকে অবসরের কথা জানান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

সবশেষ জাতীয় দলের হয়ে সময়টা ভালো যাচ্ছিল না রিয়াদের এই কথাটা বলা খুব একটা সমীচিন নয়। কারণ এই বছর মাত্র একটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ। ইনজুরির কারণে ছিলেন না চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম ম্যাচে। দ্বিতীয় ম্যাচে ফিরে তার ব্যাটে আসে মাত্র ৪ রান। তবে গত বছর ওয়ানডেতে ব্যাটার রিয়াদ ছিলেন দারুণ উজ্জ্বল। ২০২৪ সালে ৯টি ওয়ানডেতে তিনি ৪৮.১৪ গড়ে ৩৩৭ রান করেছেন। এর মধ্যে নভেম্বর-ডিসেম্বরে খেলা শেষ চার ওয়ানডেতে তার রানের চিত্রটা ছিল এমন– ৯৮, ৫০*, ৬২ ও ৮৪।

সামাজিক মাধ্যমে তবুও সমালোচনার তীব্র বিষে পুড়ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। যে কারণে বিসিবি থেকেও মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে কথা হচ্ছিল অবসর নিয়ে। তবে আচমকা নিজেই দিয়ে দিলেন জার্সি তুলে রাখার ঘোষণা। ঢাকা পোস্টকে বিসিবির এক নির্বাচক জানালেন রিয়াদের সঙ্গে কথা বলছিল বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগ। নির্বাচকদের সঙ্গে অবসর প্রসঙ্গে হয়নি কথা।

ক্রিকেটাররা মাঠে খেলা চালালেও অবসর নিচ্ছেন ফেসবুক থেকে। যে কারণে আফসোস ঝরেছে সাবেক নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমনের। তিনি বলছিলেন, ‘মাঠ থেকে নিতে পারলে অবশ্যই ভালো হতো, সেটা ডিসার্ভঁ করে সে। বাংলাদেশ দলের জন্য যা করেছে, মাঠ থেকে নিলে খুব ভালো হতো। পুরো স্টেডিয়ামের সামনে থেকে এসে বিদায় নিলে। আমার মনে হয় সব থেকে প্রোপারলি হতো বিদায়টা।’

সবমিলিয়ে আইসিসির বড় টুর্নামেন্টে ৪ সেঞ্চুরি আছে রিয়াদের। এছাড়া ম্যাচ জিতিয়ে মাহমুদউল্লাহর ভোঁ দৌড় বাংলাদেশের ক্রিকেটেরও এক পরিচিত দৃশ্য তবে সেসব সোনালি দিন পেরিয়ে রিয়াদ পৌঁছেছেন ক্যারিয়ারের অন্তিম লগ্নে। যেখান থেকে লাল সবুজের জার্সিতে ফেরার সম্ভাবনা আসলে আর নেই। রিয়াদ টেস্ট থেকে অবসরে গিয়েছিলেন অনেক আগেই। টি-টোয়েন্টিতে গেল বছর ভারতের মাটিতে, বাকি ছিল কেবল ওয়ানডে। এবার সেটি থেকেও নীরবে-নিভৃতেই এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের প্রস্থান।