ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক আয়োজনের বিষয়ে নতুন তথ্য দিলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বৈঠকের সম্ভাবনা নাকচ না করে তিনি জানিয়েছেন, এ বৈঠকটি বিবেচনাধীন রয়েছে।
গতকাল শনিবার (২২ মার্চ) দেশটির পররাষ্ট্রবিষয়ক সংসদীয় পরামর্শক কমিটির কাছে জয়শঙ্কর এ কথা জানান। খবর পিটিআইয়ের
সংসদীয় কমিটিকে জয়শঙ্কর বলেন, আগামী ২ থেকে ৪ এপ্রিল বিমসটেক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মোদির যোগদানের সম্ভাবনা রয়েছে। তখন তাকে পরামর্শক কমিটির সদস্যরা জিজ্ঞেস করেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন কি না। উত্তরে স্পষ্ট কোনো কিছু না জানিয়ে জয়শঙ্কর বলেন ‘এটি বিবেচনাধীন আছে’।
এর আগে ওই বৈঠকটির আয়োজনের সম্ভাবনা নেই বলে জানানো হয়েছিল। গত ২১ মার্চ ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস দেশটির সরকারের তিনটি সূত্রের বরাতে জানিয়েছিল, তাদের এ বৈঠকটি ‘সম্ভবত’ হচ্ছে না।
সূত্র জানায়, শনিবার সংসদীয় পরামর্শদাতা কমিটির পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রথম বৈঠকে বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য বাংলাদেশে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জিজ্ঞাসা করেন যে, ভারত এই বিষয়ে কী পদক্ষেপ নিচ্ছে?
জবাবে জয়শঙ্কর বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, মিয়ানমার এবং শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সম্পর্ক বিষয়ে সংসদ সদস্যদের অবহিত করেন। তিনি বলেন, তিনি পরবর্তীতে পাকিস্তান এবং চীন সম্পর্কে আলাদাভাবে কথা বলবেন।
প্রসঙ্গত, আগামী ২ থেকে ৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডের ব্যাংককে হবে ষষ্ঠ বিমসটেক সম্মেলন। এই সম্মেলনের ফাঁকে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক আয়োজন করতে নয়াদিল্লিকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) জানিয়েছিলেন, ওই শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে একটি বৈঠকের জন্য ঢাকার পক্ষ থেকে কূটনৈতিক চ্যানেলে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ করা হয়েছে।
এটি হলে প্রথমবারের মতো ইউনূস ও মোদি একই বহুপাক্ষিক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।