কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ক্রমবর্ধমান সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবাদ এবং মহাসড়কটি ৬ লেইনে উন্নীত করার দাবিতে ৯ এপ্রিল চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব থেকে কক্সবাজার অভিমুখে শুরু হয় ব্যতিক্রমধর্মী এক পদযাত্রা ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি।
গত ২ এপ্রিল লোহাগাড়ার চুনতিতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১১ জনের স্মরণে পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা তাদের প্রতীকী নাম গলায় ঝুলিয়ে এবং পড়নে কাফনের কাপড় পড়ে নগর ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি সৌরভ প্রিয় পালের নেতৃত্বে প্রতিবাদে অংশ নেন ১১জন তরুণ।
এই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সুকান্ত তালুকদার জুয়েল, বিপ্লব চৌধুরী বিল্লু, বাপ্পি দে, জীবন মিত্র রাজ, ইদ্রিস পানু, রয়েল কুমার পাল, মোহাম্মদ হানিফ, অপু চৌধুরী, অরুপ চৌধুরী, আব্দুর রহমান রকি,ইয়াসিন আফ্রিদি, শফিকুল ইসলাম, সাইদুল হাসান, শাহাদাত হোসেন প্রমুখ।
পদযাত্রার মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মহাসড়কের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য অন্তবর্তী সরকাররের প্রধান উপদেষ্টা চট্টগ্রামের কৃতি সন্তান নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব থেকে শুরু হয়ে শাহ আমানত সেতু হয়ে পটিয়া, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া,লোহাগাড়া চুনতি (দুর্ঘটনাস্থল), চকরিয়া ও রামু উপজেলা সদর হয়ে পদযাত্রা রাত ৯টা নাগাদ কক্সবাজার পর্যন্ত গড়ায়। পথে পথে সাধারণ মানুষ গণস্বাক্ষরে অংশ নিয়ে কর্মসূচিকে ব্যাপক সমর্থন জানায়।
আয়োজক প্রধান সৌরভ প্রিয় পাল বলেন, প্রায় প্রতিদিনই এই মহাসড়কে মৃত্যুর মিছিল লেগেই আছে। একটি আধুনিক ও নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থা ছাড়া এই সংকট নিরসন সম্ভব নয়।
কর্মসূচির শেষ পর্যায়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে কক্সবাজার বাস স্টেশন থেকে শুরু হয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কাছে প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপিতে পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরা হয়, যার মধ্যে রয়েছে—মহাসড়কটি ৬ লেইনে উন্নীতকরণ, দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকায় ওভারপাস নির্মাণ, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার উন্নয়ন, গতি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন।